বনসাই এর বড় বাঁধা ও প্রতিকার
বনসাই এর বড় বাঁধা
হচ্ছে মিলিবাগ ।মিলিবাগ গুলি
বাড়ির উদ্ভিদের
সাধারণ কীটপতঙ্গ। এগুলি
গোলাপী, নরম
দেহযুক্ত পোকামাকড়
এটি সাদা,
মোমযুক্ত, তুলোযুক্ত
উপাদানের সাথে
আবৃত অনেকগুলোর পা আছে।পোকাগুলো উড়তে পারে না।
বিশেষজ্ঞরা জানান, পোকাটি ফসলের জন্য বেশি ক্ষতিকর। মানুষের
সংস্পর্শে এলে চুলকানি, এ্যালার্জি ও শ্বাসকষ্ট হতে পারে। তবে মানুষের চেয়ে ফসলের
জন্য পোকাটি বেশি ক্ষতিকর।পোকাটি উদ্ভিদের জন্য হুমকি।
ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে পোকাগুলো
মাটির নিচে অবস্থিত ডিম থেকে ফুটে বের হয়ে খাবারের জন্য আশপাশের পোষক গাছের
কঁচিপাতা, নতুন শাখা, কা-, ফুলের কুঁড়ি, ফল ও ফলের বৃন্ত প্রভৃতিতে অবস্থান করে।
পোকাগুলো মার্চ-এপ্রিল পর্যন্ত আক্রান্ত গাছ থেকে খাবার সংগ্রহ করে
জীবনধারণ করে এবং প্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় পৌঁছে।
মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে এপ্রিল পর্যন্ত পোকাগুলো পূর্ণবয়স্ক হয়ে
ডিমপাড়ার জন্য উপযোগী জায়গার খোঁজে মাটিতে নেমে আসে ডিম পাড়ার জন্য। প্রতিটি
ডিম্ব থলেতে ২শ’ থেকে ৩শ ডিম থাকে।এই ডিমগুলো মাটির নিচে এপ্রিল থেকে জানুয়ারি
পর্যন্ত সুপ্ত অবস্থায় থাকে।
নিচের এই ঘরোয়া পদ্বতি ব্যাবহার করে এগুলো দূর করা যায় এবং পরবর্তি আক্রমন হতে গাছকে রক্ষা করা যায়।👨
১ম দ্রবন:
1/2 কাপ ভাত ৫০০ মি.লি. পানির সাথে ১০ দিন রেখে
দিলে এতে ইথাইল অ্যালকোহল তৈরী হয় । এই পানি ছেকে গাছে স্প্রে করে দিলে মিলিবাগগুলি দূর হবে।
২য় দ্রবন:
১০০ গ্রাম নিম
পাতা বেটে এর পানি ছেকে আলাদা করে একটি স্প্রে বোতলে নিয়ে গাছে স্প্রে করলে মিলিবাগগুলি পুনরায় আক্রমন করবে না।
১ম দ্রবন একবারই
ভালকরে ব্যাবহার করতে হবে। ২য় দ্রবন সপ্তাহে ২ বার ব্যাবহার করতে হবে।
৩য় দ্রবন:
১ চা চামুচ বেকিং
সোডা এর সাথে 200 মি.লি পানি মিশিয়ে ১০ মিনিট রেখে দিতে হবে তারপর ৫ মি.লি নিমের তেল
মিশাতে হবে এবং ২-৩ ড্রপ লিকুইড হ্যান্ড ওয়াশ মিশাতে হবে এই মিশ্রনের সাথে ৫০০ মি.লি
পানি মিশিয়ে স্প্রে করলে মিলিবাগগুলি দূর হবে।এই
দ্রবনটি ব্যাবহার করার ক্ষে্ত্রে প্রথমে দুই একটি পাতায় আগে স্প্রে করে দুই তিন দিন
দেখে নিতে হবে পাতার ক্ষতি হয় কিনা যদি পাতার ক্ষতি হয় তবে পানির পরিমান কিছুটা বাড়িয়ে
নিতে হবে। ৩য় দ্রবন ব্যাবহার করলে ১ম ও ২য় দ্রবন ব্যাবহার না করলেও মিলিবাগগুলি দূর হবে ।
তাছারা এপ্রিল থেকে জানুয়ারি পর্য্ন্ত যে কোন সময় আক্রান্ত গাছের
চারপাশে নালা তৈরি করে কেরোসিন মিশ্রিত পানি দিয়ে রাখলে পোকাগুলো নামা অবস্থায়
মারা যেতে পারে। তাছারা কার্বোসালফান কিংবা কনফিডার স্প্রে করলে আক্রান্ত গাছকে
রক্ষা করা যাবে ।
No comments:
Post a Comment