গাছের বৃদ্বি ও ফলনে কিছু গুরুত্বপূর্ন্ সারের ব্যাবহার
আলোভেরা জেল,
দারুচিনি গুরো ও মধু:
আলোভেরা জেল,
দারুচিনি গুরো ও মধুও রুটিন হরমোন হিসাবে ব্যাবহার করা হয়।তাছারা রাসায়নিক রুটিন হরমোনও
বাজারে কিনতে পাউয়া যায়।
সিলভামিক্স ট্যাবলেট
১ বার ব্যাবহার করলে ২ বৎসর গাছে আর কোন সার লাগে না কারন এটি একটা (নাইট্রোজেন-ইউরিয়া
, ফসফরাস-টি.এস.পি , পটাশিয়াম-এম. ও. পি ও ম্যগনেশিয়াম)সব ধরনের সারের মিশ্রণ। দুপুর
একটার দিকে গাছের যতটুকু ছায়া মাটিতে পড়ে তার ৭ হতে ১০ সে.মি. দুরে মাটিতে সামান্য
গর্ত্ করে এটি ব্যাবহার করতে হয়।
টবের গাছের মাটি
এসিটিক হলে ফলন ভাল হয় তাই ১/২ চামুচ ফিটকারী (পটাশিয়াম অ্যালুমিনিয়াম সালফেট)১ লিটার
পানিতে গুলে মাসে এবার ব্যাবহার করা যায় কিন্তু বর্ষাকালে ব্যাবহার করা যাবে না।ব্যাবহারের
সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন গাছে কোনভাবেই না লাগে।
লাইম বা চূন:
১০ইঞ্চি থেকে
১২ ইঞ্চি টবে যে পরিমান মাটি লাগে তার সাথে ১ চামুচ লাইম বা চূন মিশানো যায়। ঘন ঘন
চূন মিশানো যাবে না কারন তাতে মাটি অ্যালকালাইড হয়ে যাবে।
কাঁঠের ছাই(পটাশিয়াম,
ফসফরাস ও ম্যাঙ্গানিজ):
কাঠের ছাই বেশি
ব্যাবহার করলেও গাছের ক্ষতি হয় এতেও মাটি অ্যালকালাইড হয়ে লক হয়ে যায়। তাই শুধু মাটিতৈরীতেই
এটি ব্যাবহার করা হয়।কলার খোসা ব্যাবহার করেও পটাশিয়ামের চাহিদা পূরণ করা যায়।
প্লান্ট গ্রোথ
রেগুলেটর:
এটি ব্যাবহার
করলে গাছের গ্রোথ বন্ধ হয়ে মূকুল চলে আসে। চাড়া রোপন হতে শুরু করে গাছের মুটামুটি একটি
আকার আসা পর্য্ন্ত গাছে নইট্রোজেন সমৃন্ধ সার ব্যাবহার করতে হয় তারপর নইট্রোজেন সমৃন্ধ
সার ব্যাবহার বন্ধ করে পটাশিয়াম সমৃন্ধ সার ব্যাবহার করতে হয় এ ক্ষেত্রে এস.ও.পি বা
সালফেট অব পটাশ ২ থেকে ৩ মি. গ্রা. ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হয়।এর পাশাপাশি
প্লান্ট গ্রোথ রেগুলেটর স্প্রে করলে গাছের গ্রোথ বন্ধ হয়ে মূকুল চলে আসে।প্লান্ট গ্রোথ
রেগুলেটর রোদ উঠার আগে ব্যাবহার করতে হয়। রোদ উঠার পর ব্যাবহার করা যাবে না।
ডিসপ্রিন বা এসপ্রিন:
গাছে ডিসপ্রিন
বা এসপ্রিন ব্যাবহারের উপকারীতা । এটি একটি গাছের নির্যা্স বা কস যা মূলত (স্যালিসাইলিক
এসিড)। গাছের ক্ষেত্রে রুটিন হরমোন হিসাবে ব্যাবহার করা হয়।
১৫০ মি.গ্রা.
ট্যাবলেট ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে মিশ্রন তৈরী করতে হবে।
কোন গাছের কাটিং
১ ঘন্টা এই মিশ্রনে ভিজিয়ে রেখে লাগালে শিকড় বের হওয়ার হার ৯৯% বাড়ে।
বীজ হতে চাড়া
তৈরীতেও বীজ এই মিশ্রনে ৩ থেকে ৪ ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে লাগালে বীজের চাড়া উৎপাদন হার বেড়ে
যায়।
ফুলদানীতে ফুল
ভাল রাখতেও এই মিশ্রন ব্যাবহার করা হয়।
এই মিশ্রনটি ছত্রাক
নাশক হিসাবে ব্যাবহার করা যায় তবে মাসে একবারের বেশী নয়।
টমেটো, বেগুন
আলুর গ্রোথের ক্ষেত্রে এই মিশ্রন ভাল কাজ করে তবে মাসে একবারের বেশী নয়।
এই মিশ্রনটি রোদ
উঠার আগে ব্যাবহার করতে হয়। রোদ উঠার পর ব্যাবহার করা যাবে না।